রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ
পঙ্গু হাসপাতালের আব্দুল কাদের ও শ্যামলীর নূর-মসজিদের রফিকুল দুই ইমাম গড়েছেন সম্পদের পাহাড় গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেনের লুটপাট সমাচার “পিলার-কয়েনের নামে প্রতারণা: ব্যবসায়ী-উচ্চপদস্থরাও বঞ্চনার শিকার” বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ বন্দর: সহকারী প্রকৌশলী জালাল আহমেদ—দুর্নীতি, সিন্ডিকেট ও ঠিকাদারি কারসাজির নতুন মহারাজা জুড়ীতে অবৈধ স’মিল মালিকের বিদ্যুৎ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ঘুষের অভিযোগ সিরাজগঞ্জ-৪ আজাদকে প্রার্থী দিলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জিতবে ধানের শীষ প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ মালয়েশিয়ায় সিন্ডিকেট করতে সক্রিয় সাবেক প্রবাসী কল্যাণে মন্ত্রী বেয়াই মোশাররফের ক্যাশিয়ার দোলন ৩৩নং ওয়ার্ড আ. লীগের নেতা আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ভূমিদস্যুতা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ
নোটিশ
📢 নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি 📢 দৈনিক মিডিয়া বাজ পত্রিকায় জেলা, উপজেলা ও মহানগর পর্যায়ে বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে। ✅ আগ্রহী প্রার্থীদেরকে অনুরোধ করা হচ্ছে, তাদের সম্পূর্ণ সিভি (CV) নিচের ই-মেইল ঠিকানায় পাঠাতে অথবা হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করতে বলফ যাচ্ছে: 📧 ই-মেইল: editor.mediabuzz@gmail.com. 📱 হোয়াটসঅ্যাপ: ০১৭৭৫০৯৮৬৩৮।  🔒 সতর্কতা: উল্লেখিত ই-মেইল এবং মোবাইল নম্বর ছাড়া অন্য কোনো মাধ্যম বা নম্বরে যোগাযোগ করলে এবং তাতে কেউ প্রতারণার শিকার হলে, দৈনিক মিডিয়া বাজ কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।

গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেনের লুটপাট সমাচার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন

সরকারি চাকুরিবিধি অনুযায়ী যেখানে তিন বছরের বেশি থাকার নিয়ম নেই সেখানে দিব্যি পাঁচ বছর কাটিয়ে দিচ্ছেন শেরেবাংলানগর গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন। সারা দেশে গণপূর্তের যেখানে কোনো প্রকল্প নেই সেখানে সংসদে একের পর এক প্রকল্পের উপরি কামাইয়ের লোভ সংবরণ করতে পারছেন না মোয়াজ্জেম হোসেন। আর এখানে তার অধীনেই ঠিকাদারী কাজ করেন তার আপন ভাই মনোয়ার হোসেন। যে কাজগুলো সবচে’ লোভনীয় অথবা যা না করেই বিল তোলা যায় তেমন কাজগুলোই করাচ্ছেন তার ভাইকে দিয়ে।

জাতীয় সংসদের স্পিকারের পিএস কামাল বিল্লাহ ও চিফ হুইপের পিএস জিলানীকে ম্যানেজ করেই টিকে রইছেন তিনি। এখন তিনি ধরেছেন গণপূর্তমন্ত্রী মোকতাদির চৌধুরীর পিএস হুমায়ুনকে। বিসিএস ১৫ ব্যাচের কর্মকর্তা ও অযোগ্যতার কারনে প্রমোশন না হওয়া এই হুমায়ুনের বাড়ির পাশেই না-কি মোয়াজ্জেমের বাড়ি। আর তিনিই নিচ্ছেন তাকে টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব।

২৪তম বিসিএস এর প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন শেরেবাংলানগর-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দেন ২০১৯ সালে। সে সময়ে তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফজলুল হকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তাকে বদলি করা হয়। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েই নিজ ভাইকে নিয়ে আসেন ঠিকাদারীতে। সে সময়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. রোকন উদ্দিনের সঙ্গে মিলে ভাই ও শ্যালকদের ঠিকাদারীদের কাজে লাগিয়ে প্রায় এক শ’ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। অনিয়মের কারনে সেই রোকন উদ্দিনের চাকরি চলে গেলেও এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন মোয়াজ্জেম হোসেন।

জাতীয় সংসদের স্পিকার ও চিফ হুইপের দপ্তরের সাপোর্ট পেয়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠা মোয়াজ্জেম তার উপরস্থ ও অধীনস্থ কোনো কর্মকর্তাকেই পাত্তা দিচ্ছেন না। ইচ্ছেমতো কাজ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। সংসদে কর্মরত দু’একজন সাংবাকিদকে ম্যানেজ করেই তার দুর্নীতি ধামাচাপা দিচ্ছেন। সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদকে নিয়মিত ‘নানা কিছু সাপ্লাই’ দিয়ে ম্যানেজ মাষ্টার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।

সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর গণপূর্ত অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদে বদলি হলেও এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন এই মোয়াজ্জেম। তাঁর বিরুদ্ধে সুনির্দিস্ট কিছু অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনে তদন্তাধীন রয়েছে।

অবৈধভাবে জি কে শামীমকে ১০ কোটি টাকা বিল পরিশোধ করার বিষয়টি আবারও তদেেন্ত উঠে এসেছে। তাঁর লুটপাটের বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরা হবে পরবর্তী প্রতিবেদনে। সে পর্যন্ত দেখার বিষয় গণপূর্ত মন্ত্রীর পিএস হুমায়ুন তাকে রক্ষা করতে পারেন কি-না?


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *