বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:০০ অপরাহ্ন
জৈন্তাপুরে হাইকোর্টের রিটের মামলায় নিষিদ্ধ সারী ৩ বালু মহালের নামে ভুয়া ইজারার কাগজপত্র তৈরী করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উটেছে, ৩ নং চারিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান সেলিম এর বিরুদ্ধে।
স্হানীয় একাধিক ব্যাক্তি পরিচয় গোপন রেখে জানান, নিষিদ্ধ সারী ৩ বালু মহালের ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে ইজারায় পার্টনারশিপ এর কথা বলে,, জৈন্তাপুর উপজেলার লালাখাল এলাকা সহ আশ পাশের এলাকার বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা উত্তোলন করেন ঐ ইউপি সদস্য।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম সচিব এর স্বাক্ষর নকল, নিষিদ্ধ সারী-৩ বালুমহাল ১৪৩২ বঙ্গাব্দের জন্য ইজারার ভুয়া কাগজপত্র তৈরী করেন ইউপি সদস্য শামসুজ্জামান সেলিম। অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন থেকে সেলিম বাহিনী লালাখাল সিমান্তের জিরো পয়েন্ট এলাকা হইতে বালু উত্তোলন করে আসছে।
অতিরিক্ত লোভে পড়ে অবশেষে ভুয়া ইজারার কাগজপত্র বানিয়ে প্রতারণা জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছেন ঐ ইউপি সদস্য। স্হানীয় একাধিক মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, ইউ/পি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে সেলিম মেম্বার। স্হানীয় বিজিবি’র লাইনম্যান পরিচয় দিয়ে, প্রতি রাতে কোটি কোটি টাকার পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করায় সেলিম।
এবং চোরাকারবারিদের নিকট বিভিন্ন বাহিনীর নামে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে সেলিম মেম্বার, রহিম উদ্দীন ও তাজ উদ্দীন গংরা। এ বিষয়ে সেলিম মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করা হলে,, তিনি জানান এসবের কিছু ই তিনি জানেন না।
জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জজ মিত্র চাকমার সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানান ভুয়া ইজারার কাগজপত্র তৈরী তা তিনি জানেন না, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিবের স্বাক্ষর কেউ জালিয়াতি করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।