মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৪০ অপরাহ্ন
চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাহারছাড়া ইউনিয়নের মিনু আক্তার হত্যা মামলার প্রধান আসামি তার স্বামী ফরিদুল আলমের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার ভোরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
ফরিদুল আলম বাঁশখালী উপজেলার খানখানাবাদ ইউনিয়নের ডোংরা কালু ফকিরবাড়ির মৃত দুধু মিয়ার ছেলে।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুর ৩ টার দিকে বাঁশখালীর বাহারছাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম ইলশা এলাকা থেকে ফরিদুল আলম কে আটক করে স্থানীয়রা। পরে গণধোলাই দিয়ে তাকে পুলিশে দেওয়া হয়।
বাঁশখালী থানার এসআই কামরুল হাসান কায়কোবাদ বলেন, ‘গণধোলাইয়ে ফরিদুলের গুরুতর আহত হন। এর জেরে তাকে চমেক হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের বুধবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পশ্চিম ইলশার শেওলা বাপের নতুন বাড়িতে মিনুকে হত্যা করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৫ বছর আগে পারিবারিকভাবে ফরিদুল আলম ও মিনুর বিয়ে হয়। তাদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। ব্যবসার কারণে প্রায়শ চট্টগ্রাম শহরে থাকতেন ফরিদুল। মাঝে মধ্যে বাড়িতে আসতেন। পারিবারিক বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের দুজনের মধ্যে মতবিরোধ চলে আসছিল।
বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে বাড়িতে আসেন ফরিদুল আলম । পরে ঘুমন্ত স্ত্রী মিনুকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। মিনুর চিৎকার শুনে স্বজনরা এসে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু তার আগেই মিনুর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মিনুর ভাই নাছির উদ্দিন বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।