সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:০৪ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ
পঙ্গু হাসপাতালের আব্দুল কাদের ও শ্যামলীর নূর-মসজিদের রফিকুল দুই ইমাম গড়েছেন সম্পদের পাহাড় গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেনের লুটপাট সমাচার “পিলার-কয়েনের নামে প্রতারণা: ব্যবসায়ী-উচ্চপদস্থরাও বঞ্চনার শিকার” বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ বন্দর: সহকারী প্রকৌশলী জালাল আহমেদ—দুর্নীতি, সিন্ডিকেট ও ঠিকাদারি কারসাজির নতুন মহারাজা জুড়ীতে অবৈধ স’মিল মালিকের বিদ্যুৎ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ঘুষের অভিযোগ সিরাজগঞ্জ-৪ আজাদকে প্রার্থী দিলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জিতবে ধানের শীষ প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ মালয়েশিয়ায় সিন্ডিকেট করতে সক্রিয় সাবেক প্রবাসী কল্যাণে মন্ত্রী বেয়াই মোশাররফের ক্যাশিয়ার দোলন ৩৩নং ওয়ার্ড আ. লীগের নেতা আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ভূমিদস্যুতা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ
নোটিশ
📢 নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি 📢 দৈনিক মিডিয়া বাজ পত্রিকায় জেলা, উপজেলা ও মহানগর পর্যায়ে বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে। ✅ আগ্রহী প্রার্থীদেরকে অনুরোধ করা হচ্ছে, তাদের সম্পূর্ণ সিভি (CV) নিচের ই-মেইল ঠিকানায় পাঠাতে অথবা হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করতে বলফ যাচ্ছে: 📧 ই-মেইল: editor.mediabuzz@gmail.com. 📱 হোয়াটসঅ্যাপ: ০১৭৭৫০৯৮৬৩৮।  🔒 সতর্কতা: উল্লেখিত ই-মেইল এবং মোবাইল নম্বর ছাড়া অন্য কোনো মাধ্যম বা নম্বরে যোগাযোগ করলে এবং তাতে কেউ প্রতারণার শিকার হলে, দৈনিক মিডিয়া বাজ কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।

খরায় কাঙ্ক্ষিত চা উৎপাদন হচ্ছে না 

তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:০৪ পূর্বাহ্ন
খরায় কাঙ্ক্ষিত চা উৎপাদন হচ্ছে না 

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জসহ বিভিন্ন চা-বাগানে দীর্ঘ অনাবৃষ্টির ফলে উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। খরার কারণে চা-গাছের নতুন কুঁড়ি আসছে না, শুকিয়ে যাচ্ছে অনেক চারা ও পুরাতন গাছ। পাশাপাশি পানির সংকটের কারণে চাহিদামতো সেচ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, যা নতুন প্লান্টেশনকেও হুমকির মুখে ফেলেছে।

কমলগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত ২২টি চা-বাগানের অনেক টিলায় তীব্র খরার প্রভাব পড়েছে। দীর্ঘ তিন-চার মাস ধরে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত না থাকায় নতুন গাছের ৩০ শতাংশ ও পুরাতন গাছের ১০ শতাংশ ইতোমধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে। পানির উৎস শুকিয়ে যাওয়ায় প্লান্টেশন এলাকায় সেচের ব্যবস্থা করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।

কমলগঞ্জ ন্যাশনাল টি কোম্পানি (এনটিসি) মাধবপুর চা-বাগানের ব্যবস্থাপক দিপন কুমার সিংহ জানান, “গত বছরের নভেম্বর মাসে সামান্য বৃষ্টি হলেও এরপর থেকে বৃষ্টি হয়নি। এখন চা উত্তোলনের মৌসুম, কিন্তু খরার কারণে কাঙ্ক্ষিত হারে পাতা সংগ্রহ করা যাচ্ছে না।”

বাংলাদেশ চা সংসদের কর্মকর্তারা জানান, চা-গাছ রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়া হলেও পানির অভাবের কারণে সেচ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এতে উৎপাদন ভাটার পাশাপাশি রপ্তানিতেও এর প্রভাব পড়বে।

বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বলেন, “বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বর্তমানে উৎপাদন কার্যত বন্ধ। কিছু কিছু বাগানে পাতা চয়ন শুরু হলেও পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়ে উঠেনি। উৎপাদন খরচের তুলনায় চা বিক্রির দাম কম হওয়ায় শিল্পটিও ঝুঁকির মুখে পড়েছে।”

বাংলাদেশ চা সংসদের সিলেট অঞ্চলের চেয়ারম্যান ও জেমস ফিনলে চা কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার গোলাম মোহাম্মদ শিবলী বলেন, “চলতি বছর গ্রীষ্মকালে ৩০ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা চা-গাছের জন্য অত্যন্ত প্রতিকূল। পাশাপাশি সার, সেচ ও কীটনাশকের মূল্যবৃদ্ধি এবং উৎপাদন ব্যয় বাড়ার ফলে শিল্পটি চাপে মুখে পড়েছে।”

চা-বাগানের শ্রমিকদের আন্দোলন, বকেয়া বেতনের দাবি এবং অনাবৃষ্টির কারণে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বড় ধরনের বাঁধা সৃষ্টি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, চা-বাগানের ছায়াদানকারী গাছ সংরক্ষণ এবং পানি সংকট মোকাবিলায় খাল ও জলাশয় পুনঃখননের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান প্রয়োজন। নয়তো সম্ভাবনাময় চা শিল্পকেও টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *