শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন
ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে মোঃ হাফি মিয়া (পিতা: রউশন মিয়া) দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ত্রাস সৃষ্টি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা বলছেন, হাফি মিয়া রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে ফেনসিডিল, স্বর্ণসহ বিভিন্ন চোরাচালানপণ্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করছেন এবং এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন অবৈধ সাম্রাজ্য।
একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা এই গ্রামটি চোরাচালানের জন্য সুবিধাজনক হওয়ায় হাফি মিয়া নিয়মিত ফেনসিডিল ও স্বর্ণ পাচারের সাথে জড়িত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, “সে কৌশলে ভারত থেকে মাদক এনে এলাকাজুড়ে সরবরাহ করে।
অভিযোগ রয়েছে, মাদক ব্যবসার পাশাপাশি হাফি মিয়া এলাকায় ভয়ভীতি, মারধর ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রেখেছেন। অনেকেই তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পান না। স্থানীয়দের অভিযোগ, তার কারণে এলাকার যুবসমাজ ধ্বংসের মুখে পড়ছে।
এলাকার এক দোকানদার বলেন, “আগে সে খুব সাধারণ জীবন যাপন করতো। এখন হঠাৎ করে দামি গাড়ি, বড় বাড়ি আর বিভিন্ন ব্যবসা দাঁড় করিয়েছে। সবাই জানে, মাদক থেকেই সে এই টাকাগুলো করেছে।”
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, প্রশাসনের নাকের ডগায় দাঁড়িয়ে হাফি মিয়া বছরের পর বছর ধরে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা দ্রুত তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ঝিনাইদহের সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলে সম্প্রতি মাদক ব্যবসা ও স্বর্ণ চোরাচালান আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন, দ্রুত অভিযান চালিয়ে অপরাধীদের আইনের আওতায় না আনলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
প্রতিবেদন পর্ব-১ শেষ
পরবর্তী পর্বে: মাদক চক্রের বিস্তার ও পৃষ্ঠপোষকদের ভূমিকা
এরা খারাপ