শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:০০ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ
দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারী রাজু গ্রেফতার গুলিস্তান আহাদ পুলিশ বক্সের বিশেষ অভিযানে দ্রুত বিচার, এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ওয়ারেন্ট তামিল ও মাদক উদ্ধার অভিযানে সাফল্য, শায়েস্তাগঞ্জ থানার পুলিশ সদস্য পেলেন বিশেষ পুরস্কার স্ত্রীর অধিকার আদায়ে তরুণীর অনশন জৈন্তাপুরে ভুয়া ইজারার কাগজপত্র দেখিয়ে কোটি কোটি আত্মসাৎ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে শ্রীমঙ্গলে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন এর উদ্বোধন জুড়ীতে যুবলীগ নেতাকে থানা থেকে ছাড়াতে বিএনপির সভাপতি মাসুম রেজার প্রকাশ্যে তদবির হিন্দু প্রেমিকের বাড়িতে অন্তঃসত্ত্বা মুসলিম প্রেমিকার অনশন জৈন্তাপুরে মাওলানা শামিম আহমদকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা, থানায় অভিযোগ দায়ের নিজ বাড়ি থেকে মোহনা টিভির সাংবাদিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ধর্মের নামে বৃদ্ধকে হেনস্তা, মানবাধিকার ও সংবিধান লঙ্ঘনের ঘটনায় মামলা
নোটিশ
📢 নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি 📢 দৈনিক মিডিয়া বাজ পত্রিকায় জেলা, উপজেলা ও মহানগর পর্যায়ে বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে। ✅ আগ্রহী প্রার্থীদেরকে অনুরোধ করা হচ্ছে, তাদের সম্পূর্ণ সিভি (CV) নিচের ই-মেইল ঠিকানায় পাঠাতে অথবা হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করতে বলফ যাচ্ছে: 📧 ই-মেইল: editor.mediabuzz@gmail.com. 📱 হোয়াটসঅ্যাপ: ০১৭৭৫০৯৮৬৩৮।  🔒 সতর্কতা: উল্লেখিত ই-মেইল এবং মোবাইল নম্বর ছাড়া অন্য কোনো মাধ্যম বা নম্বরে যোগাযোগ করলে এবং তাতে কেউ প্রতারণার শিকার হলে, দৈনিক মিডিয়া বাজ কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।

বাম দলে নতুন মেরুকরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:০০ পূর্বাহ্ন

আওয়ামী লীগ, বিএনপির বাইরে বাম রাজনৈতিক দলগুলো একটি নতুন ধরনের মেরুকরণ করার চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগ-বিএনপির বাইরে তাদের শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তোলার জন্য একটি তৃতীয় ধারা সৃষ্টির প্রাথমিক আলাপ আলোচনা শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের আদর্শিক জোট ১৪ দল থেকে কয়েকটি রাজনৈতিক দল এবং বাম মোর্চা সহ কিছু বাম দল একটি ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস গ্রহণের জন্য প্রাথমিক ভাবে আলাপ আলোচনা শুরু করেছে বলে জানা গেছে। 

উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের বাম রাজনৈতিক দলগুলো ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়েছে। তারা প্রায় অস্তিত্ববিহীন। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে যতটা না ধর্মান্ধ মৌলবাদী রাজনৈতিক দলগুলোর উত্থান ঘটেছে, ততটাই নিষ্প্রভ হয়ে পড়েছে বাম ধারার রাজনৈতিক দলগুলো।

মোটা দাগে বামধারার রাজনৈতিক দলগুলো তিনটি ভাগে বিভক্ত অবস্থায় আছে। একটি ভাগ স্বতন্ত্র অবস্থায় বাম মোর্চা নিয়ে তাদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। সিপিবি, বাসদ সহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এই ঘরনায় আছে। তবে ভিন্ন একটি অবস্থান থেকে এই বাম গণতান্ত্রিক জোট খুব একটা সুবিধা করতে পারছে না। আরেকটি ধারা যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট বেঁধে আছে, এই ধারার মধ্যে আছে ওয়ার্কার্স পার্টি, সাম্যবাদী দল, জাসদের ইনু সহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এদের অবস্থাও এখন অনেকটা এতিমের মতো। আওয়ামী লীগ এই রাজনৈতিক জোটকে এখন খুব একটা আমলে নিচ্ছে না। ক্ষমতাকেন্দ্র থেকে তাদেরকে রীতিমতো গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে। মাঝখানে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদেরকে গণভবনে নিমন্ত্রণ করেন বটে, তবে তাতে বাম জোট সক্রিয় হয়েছে বা সজাগ বা আদৌ তাদের মধ্যে হতাশা কেটে গেছে এমন ভাবার কোন কারণ নেই।

তৃতীয় ধারায় রয়েছে কিছু বাম দল, যারা পরিত্যক্ত বিভ্রান্ত বাম হিসেবে পরিচিত। এই বাম দলগুলো বিএনপির লেজুরবৃত্তি করছে। এদের মধ্যে রয়েছে মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য, জেএসডি, জোনায়েদ সাকির রাজনৈতিক দল সহ কয়েকটি ছোট ছোট দল। এই দলগুলো অস্তিত্বহীন, তাদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর শক্তি নেই। বিএনপির সঙ্গে পরগাছার মতো লতাপাতার মতো আষ্টেপিষ্ঠে জড়িয়ে তারা কোন রকমে টিকে আছে।

তবে এখন এই তিন ধারার মধ্যে দুটি ধারা নিজেদেরকে একটি পৃথক অবস্থান গ্রহণের জন্য প্রাথমিক আলোচনা শুরু করেছে। বাম গণতান্ত্রিক মোর্চা, সিপিবি, ওয়ার্কার্স পার্টির একাংশ, বাসদ তারা বৃহত্তর পরিষদের বাম গণতান্ত্রিক জোটকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আর এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট বাঁধা যে বাম দলগুলো আছে, তাদের সঙ্গে মিলিয়ে একটা যৌথ স্বতন্ত্র অবস্থান নেওয়া যায় কি না তা নিয়ে প্রাথমিক কথাবার্তা শুরু হয়েছে।

এবার জাতীয় সংসদে বাজেট উত্থাপনের পর জাসদের ইনু এবং ওয়ার্কার্স পার্টি একটি স্বতন্ত্র অবস্থান নেয়। তারা সরকারের বাজেটের কঠোর সমালোচনা করেছে। জোটসঙ্গীদের মধ্যে এই দুটি দলই প্রথম সরকারের বিরুদ্ধে এত সাঁড়াশি এবং কঠোর অবস্থান গ্রহণ করল। এর প্রেক্ষিতে রাজনীতিতে একটি মেরুকরণের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। ওয়ার্কার্স পার্টি এবং জাসদের অবস্থান অনেকটাই বাম মোর্চার অবস্থানের কাছাকাছি। তাহলে কি এই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি ঐক্য হওয়া সম্ভব?

রাজনৈতিক ভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, যারা বাম গণতান্ত্রিক মোর্চা এবং জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, সাম্যবাদী দলের মৌলিক চিন্তা ধারা একই। তারা বাংলাদেশে একটি উদার প্রগতিশীল, ধর্ম নিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক ধারা প্রচলন করতে চায়। এরা প্রত্যেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিশ্বাস করে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভিত্তি করে একটি প্রগতির বাংলাদেশ বিনির্মাণই তাদের স্বপ্ন। আর এ কারণেই যদি তারা শেষ পর্যন্ত একটি স্বাতন্ত্র অবস্থান গ্রহণ করে তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *