রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ
জুড়ীতে অবৈধ স’মিল মালিকের বিদ্যুৎ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ঘুষের অভিযোগ সিরাজগঞ্জ-৪ আজাদকে প্রার্থী দিলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জিতবে ধানের শীষ প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ মালয়েশিয়ায় সিন্ডিকেট করতে সক্রিয় সাবেক প্রবাসী কল্যাণে মন্ত্রী বেয়াই মোশাররফের ক্যাশিয়ার দোলন ৩৩নং ওয়ার্ড আ. লীগের নেতা আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ভূমিদস্যুতা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ আওয়ামী নেতা শাহজালালের দৌড়-ঝাপেই বিপাকে খিলগাঁও পুবালী মার্কেটের ব্যবসায়ীরা কে জামান ওয়াশিং প্ল্যান্টের বিরুদ্ধে অবৈধ গ্যাস সংযোগ করার অভিযোগ আনিকা ওয়াশিং প্ল্যান্টে গ্যাস লাইনের অবৈধ ‘ইন্ডাস্ট্রি কনভার্শন’ স্থানীয়রা দিচ্ছে সতর্ক বার্তা ঠাকুরগাঁওয়ে অস্বাস্থ্যকর চানাচুর উৎপাদন, কারখানা সিলগালা ও জরিমানা মেডিকেল করানোর নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
নোটিশ
📢 নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি 📢 দৈনিক মিডিয়া বাজ পত্রিকায় জেলা, উপজেলা ও মহানগর পর্যায়ে বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে। ✅ আগ্রহী প্রার্থীদেরকে অনুরোধ করা হচ্ছে, তাদের সম্পূর্ণ সিভি (CV) নিচের ই-মেইল ঠিকানায় পাঠাতে অথবা হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করতে বলফ যাচ্ছে: 📧 ই-মেইল: editor.mediabuzz@gmail.com. 📱 হোয়াটসঅ্যাপ: ০১৭৭৫০৯৮৬৩৮।  🔒 সতর্কতা: উল্লেখিত ই-মেইল এবং মোবাইল নম্বর ছাড়া অন্য কোনো মাধ্যম বা নম্বরে যোগাযোগ করলে এবং তাতে কেউ প্রতারণার শিকার হলে, দৈনিক মিডিয়া বাজ কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।

আনিকা ওয়াশিং প্ল্যান্টে গ্যাস লাইনের অবৈধ ‘ইন্ডাস্ট্রি কনভার্শন’ স্থানীয়রা দিচ্ছে সতর্ক বার্তা

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ: রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন যে উত্তর ভূইঘরের আনিকা ওয়াশিং প্ল্যান্ট নামক একটি প্রতিষ্ঠান আবাসিক গ্যাস লাইনের অবৈধভাবে কোরে তা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ব্যবহারযোগ্য করে ফ্যাক্টরির কাজে যুক্ত করেছেন। প্রতিবেদক জানায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক মোঃ আকবর রিপোর্টিংকে টাকা প্রস্তাব করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই প্রতিবেদনটি অভিযোগভিত্তিক; ঘটনার সত্যতা সরকারি তদন্ত বা আদালতের মাধ্যমে প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত এসব অভিযোগ চূড়ান্ত নয়।

নিরাপত্তা-ঝুঁকি ও আইনগত অচলাবস্থা নিয়ে তালতলা, উত্তর ভূইঘরের বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন। তাঁদের অভিযোগ আনিকা ওয়াশিং প্ল্যান্ট নামের প্রতিষ্ঠানটি এলাকাবাসীর ব্যবহৃত একটি আবাসিক গ্যাস লাইনের সংযোগ কৌশলগতভাবে বদলে উচ্চ-চাপে কাজ করার উপযোগী করে ফেলেছে, যাতে ফ্যাক্টরি চালনা করা যায়। অভিযোগ অনুযায়ী এই সংযোগ শিল্পমাফিক কাজের জন্য অনুমোদিত নয় ফলে বিস্ফোরণ, গ্যাস লিক ও পরিবেশগত বিপদের সম্ভাবনা বাড়ছে। একই সঙ্গে, প্রতিবেদক অভিযোগ করেছে যে মালিক মোঃ আকবর তাকে ম্যানেজ বা নীরব করার জন্য অর্থপ্রস্তাব দিয়েছেন যা পরবর্তীতে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি করেছে।

স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা, যাঁরা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, আমাদের কাছে বলেন যে গত কয়েক মাস ধরে আনিকা ওয়াশিং প্ল্যান্টের আশপাশে অস্বাভাবিক গ্যাস পাইপিং পরিবর্তন নজরে এসেছে। তাদের অভিযোগে মূল পয়েন্টগুলো হলোঃ

অবৈধ সংযোগ: আবাসিক লাইনের মিটার ও প্যাচিং-এর বদলে দিয়েছেন ভিন্নরকম পাইপিং ও কনেক্টর যা ইন্ডাস্ট্রিয়াল লোড বহন করার মতো। চাপের

ওঠানামা ও সরবরাহ বিঘ্ন: আশপাশের ঐ এলাকার কিছু বাড়িতে হঠাৎ করে গ্যাস চাপ কমে যাওয়ার ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। স্থানীয়রা বলেন কখনো কখনো রান্না করা যায় না।

নিরাপত্তা ঝুঁকি: অননুমোদিত হুক-আপ, পুরনো অবকাঠামোতে অতিরিক্ত চাপ যোগ করার ফলে লিকেজ ও আগুন লেগে যাওয়ার ভয় দেখা দিয়েছে।

দস্তাবেজ/ভিজ্যুয়াল প্রমাণের দাবি: প্রতিবেশীরা জানান, মিটার ও পাইপের ছবি তুলেছেন এবং কয়েকজন ভিডিও ধারণ করেছেন যা তদন্তকালে বিকল্প প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করা যেতে পারে।

এক প্রতিবেশীর বক্তব্য: “রাতের সময় তারা অদ্ভুত শব্দ করে, পাইপে বদল করে আমরা ভয় পাচ্ছি। যদি বড় ধরনের লিক হয়, আমাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস হতে পারে।”

প্রতিবেদকের অনুসন্ধান ও মালিকের সাথে যোগাযোগ- রিপোর্টার ঘটনাস্থলে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন এবং স্থানীয়দের বাচ্চারা, গৃহিণীরা ও দোকানপাটের মালিকদের বক্তব্য নেন। প্রতিবেদক মোঃ আকবরকে ফোন ও ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করলে, একটি উক্তি এসেছে অভিযোগ অনুযায়ী আকবর রিপোর্ট বন্ধ করার জন্য নগদ প্রস্তাব দিয়েছেন। মালিকের বক্তব্য প্রকাশের সুযোগ নিয়েও প্রতিবেদক জানিয়েছেন যে মালিকের স্পষ্ট মুদ্রিত বা অডিওভিত্তিক বক্তব্য রিপোর্ট পুনঃপ্রকাশের আগে আবশ্যিক তবে বর্তমান প্রকাশিত বিবরণে মালিকের প্রতিক্রিয়া এখনও অনুপস্থিত।

সম্ভাব্য আইনি ও সুরক্ষা ঝুঁকি- গ্যাস লাইনের অবৈধ পদক্ষেপগুলো কেবল আইনভঙ্গ নয় তা মানুষের জীবনহানির কারণও হতে পারে। স্থানীয় প্রশাসন ও গ্যাস কর্তৃপক্ষের পর্যবেক্ষণ ছাড়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল কাজ চালানোর চেষ্টাকে অনেক দেশে ফৌজদারি ও সিভিল শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে দেখা হয়। নির্দিষ্ট সম্ভাব্য

সমস্যাগুলোঃ লাইসেন্সবহির্ভূত সংযোগ — স্থানীয় গ্যাস আইন/বিধি লঙ্ঘন। জনসাধারণের জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতি — সিভিল মামলা ও ক্ষতিপূরণের দাবি।পরিবেশ ও নিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘন — প্রশাসনিক জরিমানা, উৎপাদন নিষেধাজ্ঞা। সাক্ষ্য প্রভাবিত করার চেষ্টা (অর্থপ্রস্তাব) — তা প্রমাণিত হলে সাক্ষ্য বান্ধবতা বা সাক্ষ্যপ্রভাবন সম্পর্কিত আইনি জরিমানা/আচরণ অনুসরণ হতে পারে। টেকনিক্যাল রূপায়ণ: কীভাবে ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত বিশ্লেষক ও প্রযুক্তিবিদদের মতামত অনুসারে — অবৈধ কনভার্শন শনাক্ত করতে করা উচিত এমন কিছু ধাপ: স্থল পরিদর্শন ও ছবি/ভিডিও সংগ্রহ — মিটার, রিডিং, পাইপ সংযোগস্থল ও সিলিং চিহ্নের ছবি। প্রযুক্তিগত মূল্যায়ন — সরকারি গ্যাস বোর্ড বা স্বীকৃত টেকনিশিয়ানদের দিয়ে কনফিগারেশন ও চাপ পরিমাপ করা। রেকর্ড যাচাই — গ্যাস সরবরাহ সংস্থার রেকর্ডে ওই ঠিকানায় কেমন লাইসেন্স আছে তা চেক করা। বাসিন্দাদের লিখিত বিবৃতি — সময় ও ঘটনার বিবরণসহ প্রত্যেক সাক্ষীর সাইন করা বিবৃতি। আইনি নোটিশ ও বিভাগীয় তদন্ত — পুলিশ ও উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে আনুষ্ঠানিক তদন্ত দাবি করা। কমিউনিটি রেসপন্স: স্থানীয়রা কি বলছে? প্রতিবাদী একটি কমিটি ইতোমধ্যেই গঠন হয়েছে বলে জানা গেছে — তারা স্থানীয় প্রশাসন ও গ্যাস কর্তৃপক্ষকে নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্থানীয় স্কুল-অফিসাররা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং আশপাশের পরিবারগুলোকে সংক্ষিপ্ত সতর্কতা তালিকা নিয়ে চলাচল করতে বলেছেন। এক স্কুলশিক্ষকের বক্তব্য: “শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য আমরা প্রশাসনকে দ্রুত কার্যকর খোঁজখবর নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।” সরকারের কি ভূমিকা থাকা দরকার? — কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়ার আহ্বান

ই ধরনের অভিযোগে স্থানীয় গ্যাস কর্তৃপক্ষ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা পুলিশকে দ্রুত মেইল/অফিসিয়াল নোটিশ পাঠিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের নির্দেশ দেয়া প্রয়োজন। তদন্তের অধীর্বাদ ফলাফল নিলে পর্যাপ্ত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে — তা প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা, জরিমানা বা ফৌজদারি শাস্তি—সবকিছুই ঘটতে পারে বিচার ও প্রমাণের ভিত্তিতে।

প্রতিবেদক জানিয়েছে মালিক মোঃ আকবরের কাছে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদন দমন করার অপচেষ্টার অংশ হিসেবে অর্থপ্রস্তাব করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু এই দাবিটি আদালতে বা সরকারি তদন্তে যাচাই হওয়া পর্যন্ত এটি একটি গম্ভীর অভিযোগই থেকে যায়। মালিকের লিখিত বা মৌখিক প্রতিক্রিয়া পেলে তা রিপোর্টে যুক্ত করা হবে এবং পাঠককে জানানো হবে।

পরামর্শ: স্থানীয়দের জন্য জরুরি সতর্কতা ও করণীয়, গ্যাসের গন্ধ বা অস্বাভাবিক শব্দ পেলে অবিলম্বে ৯৯৯ বা স্থানীয় গ্যাস হটলাইন-এ কল করুন।, সন্দেহজনক স্থানে অমুক্ত আগুন বা ইলেকট্রিক ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। আপনার বাড়ির মিটার রিডিং নিয়মিত নোট করুন — আচরণগত পরিবর্তন হলে রিপোর্ট করুন। স্থানীয় প্রশাসন ও ইউটিলিটিকে লিখিতভাবে অভিযোগ দিন ও রসিদ রাখুন। সম্ভব হলে আপনারা সম্মিলিতভাবে (কমিটি) সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিক তদন্ত দাবি করুন এবং মামলাটি পর্যবেক্ষণ করুন।

এই প্রতিবেদনটি অভিযোগভিত্তিক অনুসন্ধানী সংবাদ; এখানে উল্লিখিত সকল তথ্য স্থানীয়দের বক্তব্য ও প্রতিবেদকের অনুসন্ধানের উপর ভিত্তি করে উপস্থাপন করা হয়েছে। কোনো ব্যক্তিকে অপরাধী হিসেবে চূড়ান্তভাবে উল্লেখ করা হয়নি কারণ আদালত বা সরকারি তদন্ত ছাড়া অভিযোগ নিশ্চিত হওয়া যায় না। যারা সংবাদটি ব্যবহার করবেন, তাদেরকে অনুরোধ করা হচ্ছে — প্রকাশের আগে মালিক ও সংশ্লিষ্ট পক্ষের প্রত্যক্ষ প্রতিক্রিয়া নেওয়া হোক এবং সব দাবির পেছনে থাকা প্রমাণাদি খতিয়ে দেখা হোক।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *