শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন
মাদকের ভয়াল তান্ডবে অসহায় সাধারন মানুষ। মাদক বিক্রেতা ও মাদকসেবীরা দলবদ্ধভাবে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। মাদকাসক্তরা জমিজমা দখল, ছিনতাই, ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জরিয়ে পরছে।
বিশেষ করে কিশোরগ্যাং এখন সমাজের একটি আতংক। কিশোরগ্যাংরা মাদকাসক্ত হওয়ায় সন্ত্রাসের ভয়াবহতা আরো বেড়ে গেছে। চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি রহস্যজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আইনশৃংখলা বাহিনীকে বৃদ্ধাংগলী দেখিয়ে সন্ত্রাসী, চাদাবাজদের রমরমা বানিজ্য চলছে।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে গনমাধ্যম কর্মী জানতে পারেন, গাইবান্ধা সদরের বল্লমঝাড় ইউনিয়নের দক্ষিন খোলাবাড়ী মাষ্টারপাড়া গ্রামের জুয়েল রানা এক মাদকাসক্ত, সন্ত্রাসী কার্যক্রম ছারাও মাদক বিক্রয়কারী ও মাদকসেবীদের সাথে দলবদ্ধ হয়ে তার দুই ভাই আনসার সদস্য জিল্লু ও জিয়াউর এর অবৈধ আয়ে রাজধানী ঢাকার গুলিস্তানের আলী, মতিঝিল দৈনিক বাংলার মোড়ের লালন সহ যাত্রাবাড়ী এলাকায় গাজা ও ইয়াবা পাইকারী যোগান দিয়ে আসছে মর্মে অভিযোগ রয়েছে। এছারাও গাইবান্ধায় মাদক কারবারীদের নিয়ে একটি বিশাল চক্র গড়ে তুলেছে। যে চক্রটি মানুষ হত্যার চুক্তি, মাদক ব্যাবসা, ভুমি দস্যুতা, চাদাবাজী, অবৈধ বালু উত্তোলন ও আধিপত্য রক্ষার জন্য ব্যাপক সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছে। চক্রটি বিভিন্ন এলাকায় নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে। অন্যের জমিজমা ভোগদখল সহ রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে ব্যাপক মানহানিকর ও সন্ত্রাসী আগ্রাসন চালাচ্ছেন মাদকাসক্ত জুয়েল রানার ইন্ধনে। জুয়েল রানার দুই ভাই আনসার সদস্য হওয়ার সুবাধে জুয়েল রানা প্রকাশ্যে হত্যা, বাড়ি ঘড় জ্বালাও পোরাও, জমি দখল সহ একটি শিক্ষা ও সাংবাদিক পরিবারের ব্যাপক মানসম্মান ক্ষুন্ন ও হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত যা সোস্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে।
উক্ত গ্রামের আশপাশে মাদকের জমজমাট হাট বসেছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও পাইকারী দিচ্ছে এই চক্রটি।
মাদক নির্মূলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক শাহনাজশাহের সাথে ও গাইবান্ধা সদরের অফিসার ইনচার্জের নিকট উক্ত এলাকার মাদক কর্মকান্ডের ঘটনাবলী তাদের সরকারী হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দিয়েছিল সাংবাদিক। এমনকি মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধেও একাধিকবার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। একাধিকবার অভিযান হলেও তেমন সাজা হচ্ছেনা মাদক কারবারীদের, মাদক কারবারীরা এখন প্রকাশ্যে মানুষ হত্যা, বাড়িঘড় দখল, চাদা, অস্ত্রের ভয়ে জিম্মি ও সুসংগঠিত চক্র দ্বারা অপরাধ কান্ড চলমান রেখেছে।
সচেতন মহল দাবী করেন দেশের রাজনৈতিক আমুল পরিবর্তন হলেও সন্ত্রাসীদের দমনে সেনাবাহিনী ও বিভিন্ন প্রশাসনিক সংস্হাগুলো কেন জরুরী পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। তারা আরো বলেন সন্ত্রাসীদের কোন দল নেই, এরা রাজনৈতিক তকমা লাগিয়ে দলের দুর্নাম বয়ে আনছেন এমনকি দলকে প্রশ্নবিদ্ধ করাচ্ছেন।
অভিযোগ রয়েছে জুয়েল রানা সুসংগঠিত মাদকাসক্তদের নিয়ে একটি চক্র গড়ে তুলে সমাজের সম্মান হানীর পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে তার দুই ভাই আনসার সদস্যের সহযোগিতায়। তাদের অবৈধ টাকার গরমে আর ক্ষমতার অপব্যাবহারে আশপাশে মাষ্টার, ব্যাবসায়ী, সাংবাদিক ও সাধারন জনগন এখন আতংকে থাকেন।
আনসার সদস্যের মাদক কারবারে অর্থ যোগান ও অবৈধ অর্থের উৎস ও প্রতিকার জানতে চাইলে আনসারের মহাপরিচালক বলেন অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্হা গ্রহন করবেন।
অধিক কুচক্রী ও অঢেল ক্ষমতা ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা চেয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক
মো: মিজানুর রহমান মিলন।
সচেতন মহল প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।