শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:০০ পূর্বাহ্ন
সদ্য সমাপ্ত উপজেলা নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের অনেকের এলাকায় নিয়ন্ত্রণ আরও পোক্ত হলো। নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের ৭০ শতাংশের বেশি মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের স্বজন কিংবা ঘনিষ্ঠ, যা নির্বাচনী এলাকায় মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের আধিপত্য বিস্তারে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন ক্ষমতাসীন দলের নীতিনির্ধারকেরা।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্র বলছে, অধিকাংশ সংসদীয় আসন একটি মাত্র উপজেলা নিয়ে গঠিত। মন্ত্রী-সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যান জোটবদ্ধ থাকলে তৃণমূলের অন্য নেতা-কর্মীরা গুরুত্ব পাবেন না। উন্নয়নমূলক কাজেও তাঁদের হস্তক্ষেপ বাড়বে। এমনিতে দলে বিভাজন-বিভক্তির কারণে সংঘাত লেগেই আছে। এখন ‘এমপি-বনাম তৃণমূল’ বিভেদ বাড়তে পারে। উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘাতে এবার সাতজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় এক হাজার। তাঁদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের দলীয় নেতা-কর্মী। নিজ দলের একে অপরকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে নেতা-কর্মীরা সংঘাতে জড়ান।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে নিষেধ সত্ত্বেও সন্তান-স্বজনদের ভোটে রাখেন মন্ত্রী-সংসদ সদস্যরা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বজনদের জয়ী করতে ভূমিকা রেখেছেন সংসদ সদস্যরা। এটা দলের নেতৃত্বের প্রতি একধরনের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার শামিল বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় কোনো কোনো নেতা।