বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৩২ অপরাহ্ন
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় সাংবাদিক ওসমান হারুনী (৪৩) নিজ বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছেন। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের নিজ কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি মোহনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি ও সাপ্তাহিক জামালপুর সংবাদ–এর সম্পাদক ছিলেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন।
পরিবার জানায়, ওসমান হারুনী দীর্ঘদিন শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন এবং আর্থিক সংকটেও ছিলেন। এ কারণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। দুপুরে পরিবারের সদস্যরা তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান এবং উদ্ধার করে ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ইসলামপুর থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন, “লাশের সুরতহালে শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন নেই, তবে গলায় দড়ির দাগ রয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত হয়নি। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হবে এবং সঠিক কারণ অনুসন্ধান করা হবে।”
উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মোরাদুজ্জামান বলেন, “ওসমান হারুনী আমাদের প্রাণের মানুষ ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতা ও আর্থিক সংকটে তিনি হতাশাগ্রস্ত ছিলেন বলে পরিবার জানিয়েছে। তবে তার মৃত্যু সাংবাদিক সমাজের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।”
বিশ্লেষণ
একজন কর্মঠ সাংবাদিক, কলমের যোদ্ধা—ওসমান হারুনী কি সত্যিই অসুস্থতা ও আর্থিক কষ্টে হাল ছেড়ে দিলেন? নাকি সমাজ, রাষ্ট্র ও আমাদের পরিবেশ তাকে অজান্তেই এক অদৃশ্য চাপের দিকে ঠেলে দিল?
প্রশ্ন জাগে—
✍️ একজন সাংবাদিকের আত্মহত্যার দায় কি শুধু তার ব্যক্তিগত?
✍️ নাকি পেশাগত অনিশ্চয়তা, আর্থিক সংকট ও সমাজের উদাসীনতাও এর দায় বহন করে?
সাংবাদিক সহকর্মীরা মনে করছেন, এ মৃত্যু শুধুই একটি পরিবারের নয়, পুরো সমাজ ও গণমাধ্যম অঙ্গনের জন্য এক গভীর বার্তা। সাংবাদিকদের মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।