বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল–বিএনপির সঙ্গে দীর্ঘ ১৭ বছরের পথচলা। রাজনীতির মাঠে দমন-পীড়ন, হামলা-মামলা আর অন্ধকার কারাগারের অভিজ্ঞতা—সবকিছু পেরিয়েও দল থেকে একদিনের জন্য বিচ্যুত হননি আবুল কালাম আজাদ টিটু। তিনি মনে করেন, রাজনীতি তাঁর কাছে শুধু ক্ষমতার লড়াই নয়; এটি আদর্শ ও ত্যাগের সংগ্রাম।

সূচনা তেজগাঁও কলেজে- ১৯৯৬ সালে শিক্ষাজীবনে তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের কর্মী হিসেবে রাজনীতিতে যোগ দেন টিটু। প্রথম থেকেই তিনি সাহসিকতার সঙ্গে শাসক দলের অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। ধীরে ধীরে তিনি তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সদস্য, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সহ সাধারণ সম্পাদকসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

দমন-নিপীড়নের ভেতর দিয়ে- রাজনৈতিক জীবনে বহুবার মিথ্যা মামলার আসামি হয়েছেন টিটু। কারাগারে কাটাতে হয়েছে দীর্ঘ সময়, পরিবারকে সহ্য করতে হয়েছে ভীতি-আতঙ্ক। সড়ক থেকে মিছিলের ময়দান—সব জায়গাতেই হামলার শিকার হয়েছেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে অনেক ক্ষতি হলেও সংগ্রামের পথ থেকে সরেননি। টিটু বলেন, “বিএনপিকে ভালোবেসে আমি এই পথ বেছে নিয়েছি। আপোষের চেয়ে সংগ্রামকে বড় মনে করি। এটাই আমার শক্তি।”

আদর্শের প্রতি অঙ্গীকার -অনেকে সুবিধার জন্য দল বদল করলেও টিটু নিজেকে আদর্শের সৈনিক হিসেবেই পরিচয় দেন। তাঁর বিশ্বাস, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নীতি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ত্যাগ ও তারেক রহমানের নেতৃত্বই বিএনপিকে আবার জনগণের দলে পরিণত করবে। টিটুর ভাষায়, “আমার কাছে রাজনীতি ক্ষমতা অর্জনের বিষয় নয়, এটি নীতির লড়াই। আমি সব হারাতে পারি, কিন্তু বিএনপিকে ছাড়ব না।”

বর্তমান ভূমিকা- বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। আন্দোলনের ময়দান থেকে সাংগঠনিক কার্যক্রম—সবখানেই তাঁর উপস্থিতি দৃশ্যমান।


সম্পাদক কর্তৃক আর এস প্রিন্টিং প্রেস, ৯২, আরামবাগ (মার্কেট), মতিঝিল, ঢাকা- ১০০০ থেকে মুদ্রিত।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১৫/৩ পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা। মোবাইল: ০১৮৯৮২৯৪২৭৪। ই-মেইল: mediabuzz30@gmail.com.
২০২৪-২০২৫ দৈনিক মিডিয়া বাজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত