শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৪৩ অপরাহ্ন
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার দ্বারিয়াপুর মৌজায় প্রতারণার মাধ্যমে একজন সাংবাদিকসহ তার পরিবারের মালিকানাধীন জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে ভুমিদস্যু জাহানারা বেগম নামের এক বিতর্কিত নারীর বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক সংগঠন বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান মুন্না জানান, তার ছোট মামা হাজী ইউনুস আলী নিঃসন্তান অবস্থায় ২০০০ সালে তার বোন, ভাগনে ও ভাগনীকে বেশ কিছু সম্পত্তি ও নগদ অর্থ দান করেন।
এ সময় শাহজাদপুর দ্বারিয়াপুর মৌজার জমি তিনি ২০০০ সালে ১৯৭১ ও ১৯৭২ নং দানপত্র দলিল রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে হস্তান্তর করেন। সংশ্লিষ্ট জমির জেল নং ৫৩, খতিয়ান নং ১১৩০, আরএস ১১৭৪, ডিপি নং ৭৭৬২, দাগ নং এসএ ৫০০২ ও আরএস ১০০৫৫। দানপ্রাপ্তরা এ সম্পদ ভোগ দখল করে আসছেন প্রথম থেকেই। পেশাগত কারনে ভুক্তভোগী পাবনা জেলায় বসোবাস করার সুযোগে ২০২২ সালে এই জমি প্রতারণার মাধ্যমে নিজের দখলে নেন জাহানারা বেগম।
অভিযোগ রয়েছে, অসুস্থ হাজী ইউনুস আলীকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে টাকার বিনিময়ে তার হাতের টিপসই নিয়ে নতুন দলিল রেজিস্ট্রি করান তিনি। অথচ প্রচলিত আইন অনুযায়ী হাসপাতালে কোনো জমি রেজিস্ট্রি বৈধ নয়, এবং পূর্বে নিবন্ধিত জমির দলিলই প্রকৃত মালিকানার প্রমাণ বহন করে।
এ বিষয়ে সাব- রেজিস্ট্রার অফিসে যোগাযোগ করলে তারা জানায়, এই জমি আগে দানকৃত ছিলো তা জানা ছিলো না এবং তিনি নিঃসন্তান ছিলেন বলে হঠাৎ অসুস্থ হওয়ায় আমরা মানবিক বিবেচনায় হাসপাতালে গিয়ে রেজিস্ট্রি কাজ সম্পন্ন করি। এখন আমরা সত্যতা জানতে পেরে ভুল স্বিকার করে লজ্জিত হয়েছি এবং তার নাম খারিজ পরিবর্তন করে প্রকৃত মালিকদের বুঝিয়ে দিতে আইনি প্রক্রিয়ায় আমাদের যা যা করণীয় তা করবো।
ভুক্তভোগীরা জানান, প্রথম দিককার মূল দলিল প্রতারক জাহানারা বেগম কৌশলে হাতিয়ে নিয়ে তিনি নতুন করে একই জমি রেজিস্ট্রেশন করতে সক্ষম হন। বিষয়টি জানতে পেরে সাংবাদিক ও বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান (মুন্না) পরিবার মালিকানা বোর্ড স্থাপন করলে জাহানারা বেগম তার লোকজন দিয়ে তা ভেঙে ফেলে। এতে ভুক্তভোগী পরিবার শারীরিক, মানসিক, আর্থিক ও সামাজিকভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
তারা এ ঘটনায় প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ ও সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।