বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৫৯ অপরাহ্ন
হাকালুকি হাওরে অবৈধভাবে বেড় জাল দিয়ে মাছ ধরার সুযোগ করে দিতে ‘প্রশাসনকে ম্যানেজ’ করার নামে মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে ২ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা চাঁদা নেয়ার বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কর্তৃক জুড়ী থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের এবং এই বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি নেতা মোঃ হেলাল মিয়া।
এবিষয়ে মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়নের বাছিরপুর গ্রামের মো: নানো মিয়ার ছেলে স্থানীয় ইউনিয়ন কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিএনপি নেতা মোঃ হেলাল মিয়ার লিখিত প্রতিবাদে তিনি বলেন, এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম মিঠা পানির হাওর এবং দেশের বৃহৎ হাওর “হাকালুকি” হাওর। এই হাওরের মৎস্য ভান্ডারকে কেন্দ্র করে হাওরের বিভিন্ন পয়েন্টে বেড় জাল দিয়ে মাছ ধরার জন্য প্রশাসনকে ম্যানেজ করতে মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে স্থানীয় সিন্ডিকেট দল বছরের পর বছর টাকা উত্তোলন করে আসছেন যা হাওর পাড়ের মানুষ সাক্ষী রয়েছেন।
আমরা স্থানীয় সচেতন মহল সব সময় এই সিস্টেম কিংবা চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছি। আমার পার্শ্ববর্তী এলাকা খালের মুখ বাজারে স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী খান জামাল ও নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে দীর্ঘ ১০/১৫ বছর থেকে একটি সিন্ডিকেট এই অঞ্চলের মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে প্রশাসনের নামে টাকা উত্তোলন করে আসছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি সময়ে মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে খান জামাল ও নাসির উদ্দিন সিন্ডিকেট জুড়ীর ইউএনও এবং মৎস্য কর্মকর্তার নামে প্রায় ২/৩ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার অফিসে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সহ স্থানীয় মৎস্যজীবী, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে শুধুমাত্র খান জামাল ও নাসির উদ্দিন সিন্ডিকেটের নাম আসে। তখন স্থানীয় চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ২ দিনের ভিতরে বিষয়টির সমাধান দিবেন বলে বৈঠকের সমাপ্তি করেন। এই রাতেই আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সম্পূর্ণ কাল্পনিক একটি নাটক সাজিয়ে এ বিষয়টিতে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন। কারন আগামী ১৭ আগস্ট জুড়ী উপজেলা বিএনপির নির্বাচনে আমি একজন প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কথা ছিল।
খান জামাল ও নাসির উদ্দিন সিন্ডিকেটের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে আমি সব সময় সোচ্চার ছিলাম আর বর্তমানে তারা আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের একনিষ্ঠ কর্মী। যার ফলে খুব সহজেই আমার প্রতিপক্ষ বন্ধুগণ একটি গল্প সাজিয়ে আমার উপর চাঁদাবাজির তকমা লাগিয়ে দেন। আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সাথে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার দহরম-মহরম সম্পর্ক থাকায় একদিন যেতে না যেতেই জুড়ী থানায় আমার নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান।
পাশাপাশি জুড়ী উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন মিডিয়ার আমার প্রিয় সাংবাদিক ভাইদের এসব মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত গল্প কাহিনী দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করান। তাছাড়া খান জামাল ও নাসির উদ্দিন সিন্ডিকেটের কয়েকজন সদস্য দিয়ে খালের মুখ বাজারে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করান। আমি এই মিথ্যা মামলা, মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ ও মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
আমি প্রতিহিংসার শিকার। আমি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের জুলুমের শিকার। আমি স্থানীয় সিন্ডিকেটের ষড়যন্ত্রের শিকার। আমি দেশবাসীর কাছে ইনসাফ চাই। আমি প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচার চাই। আমি সাংবাদিক ভাইদের কাছে আমার উপরে যে অন্যায় জুলুম নির্যাতন হয়েছে তার সঠিক তদন্ত চাই। আজ আমি জনতার আদালতে আমার বিচারটুকু দিলাম। আমি এসব অন্যায় কর্মকাণ্ডের সাথে কখনোই যুক্ত নই।
বিনিত: মোঃ হেলাল মিয়া।