রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৯ অপরাহ্ন

সর্বশেষ
পঙ্গু হাসপাতালের আব্দুল কাদের ও শ্যামলীর নূর-মসজিদের রফিকুল দুই ইমাম গড়েছেন সম্পদের পাহাড় গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেনের লুটপাট সমাচার “পিলার-কয়েনের নামে প্রতারণা: ব্যবসায়ী-উচ্চপদস্থরাও বঞ্চনার শিকার” বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ বন্দর: সহকারী প্রকৌশলী জালাল আহমেদ—দুর্নীতি, সিন্ডিকেট ও ঠিকাদারি কারসাজির নতুন মহারাজা জুড়ীতে অবৈধ স’মিল মালিকের বিদ্যুৎ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ঘুষের অভিযোগ সিরাজগঞ্জ-৪ আজাদকে প্রার্থী দিলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জিতবে ধানের শীষ প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ মালয়েশিয়ায় সিন্ডিকেট করতে সক্রিয় সাবেক প্রবাসী কল্যাণে মন্ত্রী বেয়াই মোশাররফের ক্যাশিয়ার দোলন ৩৩নং ওয়ার্ড আ. লীগের নেতা আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ভূমিদস্যুতা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ
নোটিশ
📢 নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি 📢 দৈনিক মিডিয়া বাজ পত্রিকায় জেলা, উপজেলা ও মহানগর পর্যায়ে বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে। ✅ আগ্রহী প্রার্থীদেরকে অনুরোধ করা হচ্ছে, তাদের সম্পূর্ণ সিভি (CV) নিচের ই-মেইল ঠিকানায় পাঠাতে অথবা হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করতে বলফ যাচ্ছে: 📧 ই-মেইল: editor.mediabuzz@gmail.com. 📱 হোয়াটসঅ্যাপ: ০১৭৭৫০৯৮৬৩৮।  🔒 সতর্কতা: উল্লেখিত ই-মেইল এবং মোবাইল নম্বর ছাড়া অন্য কোনো মাধ্যম বা নম্বরে যোগাযোগ করলে এবং তাতে কেউ প্রতারণার শিকার হলে, দৈনিক মিডিয়া বাজ কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।

গুলিস্তানে প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা, প্রশাসনের নীরবতায় ভয়াবহ বিস্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৯ অপরাহ্ন

 

ঢাকার প্রাণকেন্দ্র গুলিস্তান এখন মাদকের অভয়ারণ্য! মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকর পদক্ষেপের অভাবে গুলিস্তান ও আশপাশের এলাকায় গাঁজা ও ইয়াবার প্রকাশ্য বেচাকেনা এখন নিয়মিত চিত্র। এই এলাকায় প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে অবাধ মাদক ব্যবসা, যা রাজধানীবাসীর নিরাপত্তা ও নৈতিকতার জন্য ভয়াবহ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্টেডিয়াম সংলগ্ন দৈনিক বাংলার মোড় থেকে বঙ্গভবন পর্যন্ত এবং শহীদ মতিউর রহমান পার্ক (নাট্যমঞ্চ) এলাকায় সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গাঁজা-ইয়াবা বিক্রি হয় প্রকাশ্যে। সরেজমিনে দেখা গেছে, নিয়মিত মাসোহারার বিনিময়ে ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে পরিচালনা করছে তাদের মাদক কারবার।

বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, এই ব্যবসার পেছনে রয়েছে সুসংগঠিত সিন্ডিকেট, যাদের নেতৃত্বে রয়েছে ‘আলী’ ও ‘লালন’ নামে চিহ্নিত কয়েকজন। তারা দীর্ঘদিন ধরেই এই এলাকায় মাদক বাণিজ্য করে আসছে এবং প্রশাসনের কোনো বাধা ছাড়াই তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, কৌশলে কিছু নারীকে ব্যবহার করে এই মাদক ব্যবসা পরিচালনা করা হচ্ছে, যা এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হয়ে পড়ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। মাদকের টাকা জোগাড় করতে গিয়ে চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, এমনকি ডাকাতির মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকাপয়সা না পেলে, রাস্তায় চলা নারীদের কানের দুল, গলার চেইন, মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নিচ্ছে তারা।

সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, এই ভয়াবহ অপরাধচক্রটি গড়ে উঠেছে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, সচিবালয়, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররম, আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম ও ঢাকার বৃহত্তম বিপণিবিতানগুলোর নিকটবর্তী এলাকায়—যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত।

সচেতন মহল বলছেন, “মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে পুরো জাতিকে চরম মূল্য দিতে হবে।” তারা দ্রুত এই এলাকায় বিশেষ অভিযান চালানোর এবং সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *