পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়া থানাধীন হরিনপালা সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মো. আনারুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভয়াবহ প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানকারী সাংবাদিকদের তদন্তে উঠে এসেছে—এই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে ধর্ম, তাবিজ-কবচ ও জ্বীনের চিকিৎসার নামে অসংখ্য মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
জ্বীন, তাবিজ ও প্রেমিক ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি!
শিক্ষক পরিচয়ের আড়ালে আনারুল ইসলাম নিজেকে একজন দরবেশ হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, তিনি ‘জ্বীনের মাধ্যমে চিকিৎসা’, ‘প্রেমিককে জ্বীনের সাহায্যে বশীকরণ’ এবং ‘অসাধ্যকে সাধ্য করার’ আশ্বাস দিয়ে সহজ-সরল, ধর্মভীরু মানুষ, বিশেষ করে নারীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে থাকেন। তার প্রতারণার শিকার নারীর সংখ্যাই বেশি, যারা ভালোবাসার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে বা সংসার রক্ষার আশায় তার ফাঁদে পা দিয়েছেন।
সূত্র জানায়, বিগত সময়ের ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে তিনি ‘তাতীলীগ’ নামক একটি বিতর্কিত দলের ছায়াতলে থেকে নিজের প্রতারণা কার্যক্রম নির্বিঘ্নে চালিয়েছেন। সেই সময় তিনি বিভিন্ন জেলা থেকে আগত রোগীদের কাছ থেকে সর্বস্ব হাতিয়ে নেন। বর্তমানে আনারুল ইসলাম জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে ক্ষমতার পালাবদলের সুযোগ নিচ্ছেন বলেও দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
অস্বাভাবিক সম্পদের মালিক
শুধু প্রতারণা নয়, তার বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদেরও সন্ধান মিলেছে। পিরোজপুর শহরে একটি বহুতল ভবনসহ আরও অনেক সম্পদের তথ্য উঠে এসেছে, যা একজন সাধারণ শিক্ষক হিসেবে অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক।
ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছেন—আনারুল ইসলামের মতো প্রতারকদের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত ও কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। তার ভণ্ডামি আর অর্থলোভী মুখোশ যেন জাতির সামনে স্পষ্ট হয়।
সম্পাদক কর্তৃক আর এস প্রিন্টিং প্রেস, ৯২, আরামবাগ (মার্কেট), মতিঝিল, ঢাকা- ১০০০ থেকে মুদ্রিত।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১৫/৩ পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা। মোবাইল: ০১৭৭৫০৯৮৬৩৮। ই-মেইল: mediabuzz30@gmail.com.
২০২৪-২০২৫ দৈনিক মিডিয়া বাজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত