শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন
জামায়াত নেতা পরিচয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে দালালি করছেন মাসুদ হামিদী—এমন অভিযোগে রংপুর জুড়ে বইছে তীব্র জনমুদ্রা। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী যুব মহিলা লীগ রংপুর মহানগরের আহ্বায়ক শাহনাজ বিউটির অবৈধ সুবিধা বাস্তবায়নে তিনি সক্রিয়ভাবে জড়িত বলে জানা গেছে।
শাহনাজ বিউটি, সহকারী অধ্যাপক (ইংরেজি), ভাংনী আহমাদিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসা, মিঠাপুকুর, রংপুর—গত ১৫ বছর ধরে মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থেকেও দলীয় প্রভাব খাটিয়ে নিয়মিত বেতন ভাতা উত্তোলন করে আসছিলেন। সম্প্রতি আওয়ামী সরকারের পতনের পর তাকে ক্লাসে উপস্থিত থাকতে বলা হলে, তিনি মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় ফাঁসিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু ছালেহ মোহাম্মদ জাকারিয়া, প্রভাষক এ কে এম শাহীন আখতার এবং মো. শফিকুল ইসলামকে।
এ মামলার মিথ্যা সাক্ষী হয়েছেন মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মো. মাকছুদুর রহমান জামেলী, যিনি পূর্বে ভুয়া সনদ (বেগম রোকেয়া কলেজ, বগুড়া) ব্যবহার করে শাহনাজ বিউটিকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেন।
অন্যদিকে, মাসুদ হামিদী ঘুষের বিনিময়ে মো. আকরামুল ইসলামকে ভুয়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাজিয়ে আদালতে রিট করে জানুয়ারি-জুন মাসের বেতন ছাড় করান, যদিও তখনও শাহনাজ বিউটি অনুপস্থিত ছিলেন।
শুধু তাই নয়, শাহনাজ বিউটি তার দলীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে অধ্যাপক আবু ছালেহ মো. জাকারিয়ার বেতন কোড ২৮ মাসের জন্য বন্ধ করান, যা সরকারের পতনের পর পুনরায় চালু করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে মাসুদ হামিদী ফের শাহনাজ বিউটির পক্ষ নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে সেই বেতন বন্ধের চেষ্টা করেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সুসংগঠিত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাকে এই অনৈতিক ও অপকর্ম থেকে বিরত থাকতে নিষেধ করলেও মাসুদ হামিদী দালালির পথেই রয়ে যান। বর্তমানে তিনি মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে শাহনাজ বিউটির স্বার্থে নিয়মিত লবিং করে চলেছেন।
এই সব কর্মকাণ্ডে রংপুরবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে, তারা দ্রুত এ বিষয়ের সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের শাস্তি দাবি করছে।