মিরপুর বিআরটিএ তে এনআরবিসি ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, ব্যাংকের দায়িত্বপ্রাপ্ত নিরাপত্তাকর্মী (দারোয়ান) দের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে “সিরিয়াল ছাড়া” টাকা জমা নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে, আর এতে সুবিধাভোগী হচ্ছেন ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তা।
[caption id="attachment_1593" align="alignleft" width="300"]
দারোয়ানদের মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ। ছবি: দৈনিক মিডিয়া বাজ[/caption]
সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী, বিআরটিএ সংক্রান্ত ফি জমা দিতে গ্রাহকদের নির্ধারিত লাইনে দাঁড়িয়ে যথানিয়মে ব্যাংক কাউন্টারে টাকা জমা দিতে হয়। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, যারা দারোয়ানদের হাতে গোপনে বাড়তি টাকা দিচ্ছেন, তারা লাইনের অপেক্ষা ছাড়াই দ্রুত জমা দিতে পারছেন। এতে করে সৎ ও নিয়ম অনুসরণকারী গ্রাহকরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন।
ব্যাংক সংশ্লিষ্ট একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, দারোয়ানরা একটি সিন্ডিকেটের মতো কাজ করছে, যাদের সহযোগিতায় কিছু কর্মকর্তা নিয়ম বহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত অর্থ নিয়ে নিজেদের পকেট ভারী করছেন। বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে চললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না, যা জনগণের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা তৈরি করেছে।
এদিকে, সচেতন মহল মনে করছে, এ ধরনের ঘটনা শুধু সাধারণ গ্রাহকদের হয়রানিই বাড়াচ্ছে না, বরং বিআরটিএ ও এনআরবিসি ব্যাংকের ভাবমূর্তিকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তারা দ্রুত তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
তাছাড়া প্রশাসনের উচ্চ মহলের সুদৃষ্টি এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত না হলে, এ ধরনের অনিয়ম বন্ধ হবে না বলেও মনে করছেন অনেকে। সেবা প্রতিষ্ঠানের এই ধরনের আচরণ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সহ অন্যান্য সংস্থারও নজরে আনা প্রয়োজন।
শেষে, প্রশ্ন রয়ে যায়—গ্রাহক হয়রানি বন্ধে কর্তৃপক্ষ কবে জাগবে?
প্রথম পর্ব......
সম্পাদক কর্তৃক আর এস প্রিন্টিং প্রেস, ৯২, আরামবাগ (মার্কেট), মতিঝিল, ঢাকা- ১০০০ থেকে মুদ্রিত।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১৫/৩ পশ্চিম রামপুরা, ঢাকা। মোবাইল: ০১৭৭৫০৯৮৬৩৮। ই-মেইল: mediabuzz30@gmail.com.
২০২৪-২০২৫ দৈনিক মিডিয়া বাজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত