শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন
কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামোইন থানার অন্তর্গত কাটখাল ইউনিয়নের বিশিরকোনা গ্রামের মৃত দুদ মিয়ার ছেলে সোহেল রানার প্রতারনায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী ও বিদেশগামী যাত্রীগণ। বিদেশ পাঠানোর কথা বলে কোটি কোটি টাকা প্রতারনা করেছেন মর্মে সুস্পস্ট প্রমান রয়েছে। মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ইউরোপ, সৌদি পাঠানোর কথা বলে ভুয়া ভিসা, টিকিট দিয়ে অসহায় ভুক্তভোগীদের নিকট কোটি টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করে অভিনব কায়দায় প্রতারনার ফাদে ফেলে নি:স্ব করে যাচ্ছে মানুষকে।
ভুক্তভোগী বিদেশ প্রত্যাশী যাত্রীদের দফায় দফায় ঢাকায় এনে, বিদেশ না পাঠিয়ে অসহায় যাত্রী গুলোকে ভয়ভীতি হুমকি দিয়ে কোটি টাকা আত্বসাতের পায় তারা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ ছাড়াও হবিগঞ্জের মহসিন নামে এক যাত্রীর নিকট হইতে ৩’৪০’০০০ (তিন লক্ষ চল্লিশ হাজার) টাকা নিয়ে চেক, স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে, ভুয়া ভিসা দিয়ে দীর্ঘ দিন থেকে ওই যাত্রী ও যাত্রীর পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছে। ভুক্তভোগী যাত্রী তার অসহায় বাবার কষ্টার্জিত টাকা উদ্ধারের জন্য সোহেল রানার এলাকার এক স্হানীয় দেলোয়ার হোসেন কে নিয়ে, আদম ব্যাবসায়ীর বাড়িতে পৌছিলে প্রতারক সোহেল রানা মার মুখী হয়ে উঠেন।
কথাবার্তার এক পর্যায়ে হাতের নাগালে থাকা রড দিয়ে বেধরক মারধর করে আহত করে বিতারিত করে দেন এবং বলেন আর কখনো আসলে তোর লাশ খুজে পাবেনা কেউ মর্মে ভয়ভীতি দেখায়ে বিদায় করে দিয়েছেন। মামলা করার সাহস পাচ্ছেনা ভয়ানক সন্ত্রাসী সোহেল রানার অপক্ষমতার জোরে।
প্রতারক সোহেল রানা ছোট বেলা থেকেই বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, ইয়াবা, জুয়ায় আসক্তের কারনে ভয়ানক প্রতারনার পথ বেঁচে নেয় একটি আন্তর্জাতিক চক্রের মাধ্যমে।
সোহেল রানা সাংবাদিক পরিচয় দিলেও সে কোন নিউজ লিখতে পারেনা। সাংবাদিকতার কার্ড গলায় ঝুলিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ভয়ভীতি হুমকি দিয়ে বিশাল অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে গরীব অসহায় মানুষদের হইতে।
এদিকে সোহেল রানা তার নিকটতম আত্বীয় স্বজন, বন্ধু ও আশেপাশের এলাকা হইতে প্রায় বছর দুয়েক পুর্বে আনুমানিক ৭০/ ৮০ লক্ষ টাকা নিয়ে, ভুয়া ভিসা, টিকিট, ওয়ার্ক মারমিট কম্পিউটারে বানিয়ে প্রতারনা করে যাচ্ছে বলে সুস্পস্ট প্রমান আছে।
দফায় দফায় যাত্রী ও তার পরিবারের লোকজন, আত্বীয় স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষীদের কিশোরগন্জ হইতে ঢাকায় এনে ফ্লাইট তো দুরের কথা সঠিক কাগজপত্র দেখাতে পারেনি কোন যাত্রী ও সালিশী কার্যক্রমে থাকা গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক ও প্রশাসনের কাউকেই।
সোহেল রানার মিথ্যা আশ্বাসে যাত্রীরা বারংবার ঢাকায় এসে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে দিশেহারা হয়ে পরেছেন দেনার দায়ে।
দাদন ব্যাবসায়ীদের নিকট হইতে টাকা নেওয়ার কারনে বেশির ভাগ পরিবারই ভয়ানক বিপদের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। কেউ কেউ সোহেল রানার বাড়িতে আত্বহত্যার জন্য অপেক্ষা করেন বলে প্রায় সাংবাদিকদের মুঠো ফোনে জানাতেন।
মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন গনমাধ্যম কর্মী ও হিউম্যান রাইটস এর সহযোগিতায়, ভুক্তভোগী যাত্রীদের ৪ (চার) টি পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেন সাংবাদিক রাসেল এর মাধ্যমে। এছারাও ট্টাভেলস কর্তৃপক্ষ সাংবাদিক ও হিউম্যান রাইটস মুঠো ফোনে লেনদেন বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য বলিলে ট্রাভেলস এর স্বত্বাধিকারী বরিশালের সোহেল রানা কিশোরগন্জের সোহেল রানাকে বেশির ভাগ টাকা পরিশোধ করেছেন বলে মুঠো ফোনে জানিয়েছেন।