শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন
বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ থানার অন্তর্গত জেএলনং ১১৮, গাগুরিয়া মৌজায় অবস্থিত এস এ ১৯০১ নং দাগে ৩০১.৫৮ একর এবং জেএল১২০ নম্বর শ্রীপুর-মৌজায় এস, এ ১৫৩১ দাগ হইতে ১৬৩.৩২একর একুনে ৪৬৪.৯০ একর জমি তদানীন্তন মালিক/ জমিদারগনের নিকট হইতে বন্দোবস্তু প্রহণ করিয়া খাজনাদী পরিশোধ করত: শান্তি পূর্ণভাবে ভোগ দখল করিতে
থাকেন।
জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর বিগত এসএ জরীপে বিরোধী-ভূমি আপিলকারী পক্ষের নামে রেকর্ড না হওয়ায় তাহাদের কেহ কেহ অতিরিক্ত জেলা প্রশাষক (রাজস্ব) আদালতে মিস কেস নং ২৯৪/৬৩-৬৪ দায়ের করেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাষক (রাজস্ব) ২৬-৬-১৮ই তারিখে তাহাদের প্রস্তাবগুলি যথারীতি অনুমোদন করেন এবং তাহার নির্দেশে রেন্টরোল প্রস্তুত ও ম্যাপ তৈরী হয় এবং রেন্টরোল অনুমোদিত হইলে গাগুরিয়া মৌজার ৩০১.৫৮ একর ৯০ জন ব্যাক্তির খতিয়ান খোলার আদেশ হয়।
অর্থাৎ ৪২২ হইতে ৫১১ পর্যন্ত খতিয়ান গুলি আপীলকারী পক্ষের ৯০ জনের নামে ডিপার্টমেন্টাল খতিয়ান খোলার আদেশ হয়। একই ভাবে শ্রীপুর মৌজার ১৬৩.৩২ একর জমি ৪৮৯ হইতে ৫৩৪ পর্যন্ত ৪৬ জন ব্যাক্তির নামে ডিপার্টমেন্টাল খতিয়ান খোলার আদেশ হয়। এইভাবে ৪৬৪.৯৩ একর জমি আপীলকারী পক্ষের অনুকুলে বন্দোবস্ত অনুমোদন করিয়া খতিয়ান খুলিয়া খাজনাদী গ্রহন করেন।
প্রকৃত জমির মালিকদের হয়রানীর জন্য বিভিন্ন ব্যাক্তিদয় আপিল করিলে তাদের পক্ষে কোন রায় পায় নাই মর্মে সুস্পস্ট আদেশ আছে।
আদেশে উল্লেখ করা হয় আপীলকারী পক্ষ কর্তৃক দাখিলকৃত আপীলটি আংশিক মঞ্জুর করা হইল। অর্থাৎ মিস কেস ৩৮/৫৭-৫৮ এবং মিসকেস ২৯৪/৬৩-৬৪ এর স্ব স্ব অনুমোদিত জমির পরিমান ও তফসিল অনুযায়ী নিজনিজ মিস কেস অনুকূলে ম্যাপ সংশোধন করিয়া রেন্ট রোল প্রস্তুত করতঃ খতিয়ান খুলিয়া খাজনা গ্রহণ করার আদেশ দেওয়া গেল।
এই মর্মে সংশ্লিষ্ট সকলকে আহিত করা হোক এবং বিজ্ঞ নিম্ন আদালতের নথি ফেরত দেওয়া হোক মর্মে আাদেশিট স্বাক্ষর করেন মো: ইয়াকুব আলী-অতিরিক্ত কমিশনার (রাজস্ব) বরিশাল বিভাগ, বরিশাল। উল্লেখ্য যে আদেশটি বাস্তবায়ন না করে রাষ্ট্র ও জনগণের সম্পদ লুট করে খাচ্ছেন এক শ্রেণীর ভূমিদস্যু ও প্রতারকগন।
অনুসন্ধান-১